May 19, 2024, 6:11 am

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির সম্মেলনে সংঘর্ষ আহত-১০

,সিদ্ধিরগঞ্জ (১৫’এপ্রিল ২২’ইং শুক্রবার) ঃ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সম্মেলনে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে সম্মেলন পন্ড, এ সময় উভয় পক্ষের ১০’নেতাকর্মী আহত। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০’টায় চিটাগাংরোড ফজর আলী গার্ডেন সিটির গ্যান্ড তাজ পার্টি সেন্টারে এ সম্মেলন হবার কথা ছিল। সংঘর্ষে পার্টি সেন্টারটির প্রধান ফটক, চেয়ার টেবিলে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) বেনজীর আহমেদ টিটুর। এটি জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি ও সদস্য সচিব মামুন মাহমুদের নিজের থানা। অথচ সকাল ৯’টায় সম্মেলনের সময় নির্ধারণ করে নেতাকর্মীদের জানানো হলেও এতে মারধরের শিকার হবার ভয়ে উপস্থিত হননি মামুন মাহমুদ। অপরদিকে রবি উপস্থিত থাকলেও ঘটনার সময় কোন পক্ষকেই নিবৃত্ত করতে দেখা যায়নি তাকে বরং তিনি পালিয়ে সম্মেলনস্থল ছেড়ে ঘোষণা দেন থানা বিএনপির সম্মেলন স্থগিতের। জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির এখানকার নির্বাচনী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন ও তার অনুগত কোন নেতাকর্মীদের সম্মেলনের ব্যাপারে জানানো হয়নি এবং তাদের কোন কমিটিতে রাখা হয়না। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ ছিল তাদের। এর মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সম্মেলনের দিনক্ষন ঠিক করা হলেও স্থানীয় নেতাকর্মীদের জানানো হয়নি বলে অভিযোগ উঠে। পরে তাদের ক্ষোভের সাথে সহমত জানায় থানা বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের একটি অংশ। তারা আজ সকাল থেকেই সম্মেলনস্থলে বিএনপি নেতা কাউন্সিলর ইকবালের নেতৃত্বে অবস্থান নেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের তারা বিষয়গুলো অবহিত করবেন বলে জানান। পরে মামুন মাহমুদের পক্ষের একটি মিছিল সভাস্থলে স্লোগান নিয়ে প্রবেশ করে নেতাকর্মীরা। এতে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও মারামারি হয়। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষদর্শী মার্কেটের দারোয়ান মাহবুব বলেছেন, আমারে ৪-৫ জনে টেনে হেচড়ে নিয়ে এসেছে বলে তালা লাগা। নিচে অন্য এক পক্ষের কয়েকজন আমাকে ধাক্কা দিয়ে বলে সরে যা তোকে মেরে ফেলবো। পরে তারা গেট ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে যায়। সেখানে গিয়ে রেস্টুরেন্ট ভাঙচুর করে। এর বেশিকিছু আমি জানি না বাবা।
গ্র্যান্ড তাজ রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার শাহীন বলেন, বুজতে না বুঝতেই তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতি শুরু হয়ে গেলো। এক গ্রুপ নেমে গেলো কিছুক্ষণ পর ১৫-২০ জন এসে রেস্টুরেন্ট ভাঙচুর শুরু করে। আমাদের রেস্টুরেন্টে আনুমানিক এক লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। তবে, তাদের কেনো কর্মচারী আহত হননি বলে তিনি জানান। বিএনপি সমর্থিত ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন বলেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদের গ্রুপ বিএনপির ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে পকেট কমিটি করার চেষ্টা করছে। ওই সময় রাজপথে থাকা নেতারা বিরোধীতা করলে মামুন মাহমুদের অনুসারী নেতা রিয়াজুল অর্তকিত ভাবে ত্যাগী নেতাদের উপর হামলা শুরু করে এবং দারোয়ান কে মারধর ও রেস্টুরেন্টের ভিতর ডুকে ভাঙ্চুর করে। পরে তাদেরকে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে হাল্কা সমস্যা ছিল। এখন পরিস্থিতি শান্ত। সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। এক পক্ষ ভেতরে ও আরেক পক্ষ বাইরে অবস্থান নেয়া ছিল, তবে আমি কাউকে আহত হতে দেখিনি। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ জানান, ওরা গত নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করেছে, আওয়ামীলীগ ঘেঁষা। পরিকল্পিতভাবে সম্মেলনকে পন্ড করতে আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করা হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম জুয়েল জানান, আজ বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ছিল। এ নিয়ে কমিটির পদবঞ্চিতদের সাথে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান পিপিএম জানান, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ একটি প্রোগ্রাম ছিল। সেখানে নিজেদের মধ্যে সমস্যা থাকতে পারে। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি।####

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা